কেন সাগরে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়

চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে একটি আকর্ষণীয় সম্পর্ক রয়েছে।  চাঁদ ও পৃথিবীর সম্পর্ক। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে চাঁদ ও পৃথিবী একে অপরের দিকে আকৃষ্ট হয়। এর ফলেই মহাসাগরে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। চাঁদ নিজ অক্ষে একবার আবর্তিত হতে যত সময় নেয়, ততই পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতেও লাগে। 

তাই আমরা শুধু এর একটি দিকই দেখতে পাই; অন্যটি সবসময় আড়ালে থাকে, যাকে বলা হয়ে থাকে ‘চাঁদের দূরবর্তী পিঠ’।  এটা হঠাৎ করে হয়নি; এটি হলেও ধীরে ধীরে ঘটেছে। যখন চাঁদ ছোট ছিল, তখন সেটি দ্রুত আবর্তিত হতো। এর ফলে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টান চাঁদকে ভেতরের দিকে মোচড় দিতো এবং ঘর্ষণ তৈরি করতো। এই প্রক্রিয়া তাপ উৎপন্ন করত এবং চাঁদের ঘূর্ণনকে মন্থর করত যতক্ষণ না তার কক্ষপথের সাথে সামঞ্জস্য আসে।  

চাঁদের অদৃশ্য টানের কারণে পৃথিবীতে নিয়মিত উত্তাল ঢেউ হয়। মজার বিষয় হলো, পৃথিবীও চাঁদকে আস্তে ধীরে কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। ৮ সেন্টিমিটার করে দূরে যাচ্ছে, যা মহাকাশে ভবিষ্যতে আমাদের বড় ধরনের বদলের ইশারা।  

একদিন এমন কিছু ঘটলে পৃথিবীর একটি দিক থেকে চাঁদ সর্বদা দৃশ্যমান থাকবে, আর অন্য দিক থেকে তা কখনোই দেখা যাবে না। তবে এতে পৌঁছাতে কয়েক বিলিয়ন বছর লেগে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।  তাহলে চাঁদ এবং পৃথিবীর এই লুকোচুরি খেলা শুধু আকাশের মজার কিছু নয়; এটি আমাদের সাগরের ঢেউ, পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং দূরবর্তী গ্যালাক্সির ভবিষ্যতের সাথে গভীরভাবে জড়িত।

মন্তব্য

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال