ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনায় অবশেষে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। একইসঙ্গে ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় অবিলম্বে সামরিক হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘোষণার পর জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশ পদক্ষেপটিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এটিকে দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানের সম্ভাব্য সূচনা হিসেবে দেখছে। হামাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় এবং মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার মতো কয়েকটি মূল বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী। তবে গাজার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত ছাড়া চূড়ান্ত করা হবে না বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এদিকে কাতার, মিশর ও জর্ডানসহ আঞ্চলিক দেশগুলো মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও মাঠের বাস্তবতা এখনো আশাব্যঞ্জক নয়। গাজায় ইসরায়েলি সেনা অভিযানের খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আহত ও নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক পরিবার এখনো আশ্রয় খুঁজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে। তবু যদি এই প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নেয়, তাহলে অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও গাজার মানুষ মৃত্যুভয়ের ভেতর থেকে শান্তির কিছুটা স্বাদ পেতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের অন্ধকারের মাঝে নতুন এক আলো জ্বালবে, যেখানে যুদ্ধের ক্লান্ত মানুষরা হয়তো অবশেষে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে—যেটা এখন গাজার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।
ছবি: ক্যানভা
