(প্রতীকী ছবি, জেমনিনি)
কোন সে জয়ধ্বনি? প্রতিধ্বনি হয়ে ফেরে না বাতাসে, কলরোল তোলে না জলের সমুদ্রে। কোন সে জয়ধ্বনি? গর্জে ওঠে না মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে-প্রতিরোধে, মুছে দেয় না ব্যর্থতা-কায়ক্লেশে মানচিত্রের দীনতা। কোন সে জয়ধ্বনি? খুলে দেয় না জ্ঞানী-ছদ্মবেশীর মুখ-মুখোশ, খেলে না ভাঙ্গার খেলা, স্বপ্ন বোনে না শুশ্রূষার জাগরণে।
কোন সে স্বাধীনতা? কষ্টপোষা দুঃখবোধের কোন্দলে শোকের মহীরুহ ঝিমোয় আকণ্ঠ মদিরার তৃষ্ণায়, শরীরজুড়ে তান্ত্রিকের উল্লাসের মন্ত্র উচ্চারণ রোজ রোজ গিলে নেয় স্বস্তির গৃহস্থালি সবুজের ঘ্রাণ। কোন সে স্বাধীনতা? যীশুর ক্রুশে বিদ্ধ রক্তাক্ত প্রশ্নোত্তর! নতজানু বিশ্বাসে চোখের জলের বোঝাই নহর। '৭১'-এর বীরাঙ্গনা ললিতা দিদির ধর্ষণের সাক্ষী জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা 'যুদ্ধশিশু'।
কোন সে বেঁচে থাকার রহস্যের কারুকাজ? বেদনার দীর্ঘশ্বাসে মাতাল বারুদের স্পর্শ তাণ্ডব! নির্মাণে-বিনাশে, কামে-ঘৃণায় ক্রমাগত পুড়ে যায় হিরণ্ময় জীবন। শোকে-তাপে-অপেক্ষা-উপেক্ষায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে নিষ্প্রাণ ভালোবাসার আঁতুড়ঘরে। 'করুণার' বিলাপী রোদনে নিষ্ঠাহীন স্বপ্ন সাম্প্রতিক হালচালে বড্ড চিৎকার-উল্লাসের।
কবিতার পাণ্ডুলিপি সাংঘর্ষিক জীবনের স্লোগান তুলে 'কাব্যিক ঈশ্বর' হয় নির্লোভ সমর্পণে।
